ফারহীন জান্নাত মুনাদী রচিত একগুচ্ছ শব্দমালার সমন্বয়ে আসছে “তিতিন”
1 min readরওশন আরা তাবাসসুম :: একটু একটু করে বেড়ে ওঠা তিতিনের তাওফীকা হয়ে উঠতে কত রঙের আলো,কত গাঢ় আঁধার পেরোতে হয় তা কেবল ‘তিতিন’রাই জানে। তিতিনরা জানে, লোক চোখে অস্বচ্ছ সস্তা জীবনমানে অভ্যস্ত ‘মানুষ’গুলোর হৃদয়ের প্রসারতা; যারা হতাশায় মুহ্যমান একজন মানুষকে সুখ দিতে না পারলেও দিতে পারে বেঁচে থাকার প্রেরণা, দিতে পারে তাঁর স্মরণে স্বস্তি আর শান্তির খোঁজ।
জীবনের ধাপগুলো সবার জন্য যেমন জটিল হয়না তেমনি অনেকের অন্য সহজও হয়না খুব। অবহেলা, অন্যায়-অনাচারে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে কারও কারও জীবন। কেউ বা আবার স্বস্তি খুঁজে ফেরে ভুল পথে, আশা ছেড়ে হতাশার অতল গহ্বরে। সে পথে আদৌ কি স্বস্তি মেলে? জানতে হলে সঙ্গী হতে হবে তিতিনের।
পথে পথে ও পরাশ্রয়ে বেড়ে ওঠা ছোট্ট তিতিন! বড়লোক বাবার আলিশান মহল ছেড়ে আসা যে মেয়েটির সঙ্গী ছিলো—ক্ষুধা, অভাব, নিঃসঙ্গতা, নিষ্ঠুরতা। রূঢ় বাস্তবতায় নিষ্পেষিত ছোট্ট তিতিনের কাছে ধাপে ধাপে ধরা দেয় মুখোশে আচ্ছাদিত অধুনা সমাজের আসল রূপ—বীভৎস চেহারা। তার চোখে প্রকট হয়ে ওঠে বিলাসিতায় মোড়া জীবনের অস্বচ্ছতা। সে বুঝতে পারে, এ সভ্য সমাজ তাদের ভেতরের পাশবিকতাকে পোশাকে মুড়িয়ে রাখতে কতটা তৎপর! অবহেলা, অন্যায়-অত্যাচার আর অত্যাচারে অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজ তিতিনের কাছে যেন বিভীষিকা। তার মনে হতে থাকে—সে একা, বড়ো একা! শত মানুষের ভীড়ে তার আপন মনে হতে থাকে এক পথ; সে পথ তাকে বারবার হাতছানি দিয়ে ডাকে – আত্মহত্যা! তারপর?
সে এক ইতিহাস! অতীত খুঁড়তে আসা তাওফীকা নামের মধ্যবয়সী নারীর পিছনে ফিরে দেখার ইতিহাস!
এ এক জীবনের গল্প! তিতিন-তাওফীকার গল্প!
যে গল্পের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে সমাজের উঁচু-নিচুর বিভেদ, দ্বীনহীন সমাজে বেড়ে ওঠা অসহায় মেয়ের আত্মপরিচয়-সংকট; ফুটে উঠেছে ‘সুশীল সমাজের’ চিত্র। আসুন সঙ্গী হই তার। তার সাথে খুলে পড়ি এক ইতিহাসের খেরোখাতা।
বইটির লেখিকা ফারহীন জান্নাত মুনাদী। জন্ম-১৯৯৪ সালে। পিতা- প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী। ফারহীন ২০১১ সালে কওমী শিক্ষাবোর্ড বেফাক থেকে মেধা তালিকায় ফযীলতে তৃতীয় স্থান ও ২০১২ সালে তাকমীলে ১ম স্থান অধিকার করে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন। ২০১৩ সনে ইফতা শেষ করে অধ্যাপনায় নিযুক্ত হন। প্রায় ছয় বছর বুখারী, তিরমিযীসহ বিভিন্ন হাদীসের কিতাব ও তাফসীরগ্রন্থ জালালাইনের শিক্ষকতা করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি অব্যাহত রেখেছেন জ্ঞানসাধনা ও কলমচর্চা। জীবনসঙ্গী হাফিজ আল মুনাদীর সাথে তার যৌথ প্রচেষ্টায় ইতিপূর্বে প্রকাশিত অনুবাদগ্রন্থ ‘নবিজির পরশে সালাফের দরসে’ পাঠকের মনে স্থান করে নিতে সক্ষম হয় আলহামদুলিল্লাহ্। বর্তমানে তিনি এক সন্তানের জননী।
বইটি প্রকাশিত হবে সমর্পণ প্রকাশনী থেকে।
মূল্যঃ এখনও নির্ধারিত হয় নি।
ধরণঃ উপন্যাস