[কাকলী আক্তার মৌ]
মা জননীর বুকের মানিক,
আঁধার ঘরের বাতি,
তাকেই ঘিরে কাঁটত প্রহর
সকাল সন্ধ্যা রাতি।
আদর করে,সোহাগ করে
জরিয়ে রেখে বুকে,
মোহন আভা প্রেমের সুরে
ভরিয়ে দিত সুখে।
একটু খানি আড়াল হলেই
কালো হত মন,
ছাতি ফেঁটে করতে বিলাপ
নাড়ী ছেড়া ধন।
যদিও আমার কথাটা শুনতে একটু অন্য রকম মনে হবে;তারপরও বলি,দয়া করে আপনার অবুঝ শিশুকে কোন ভাবেই দূরবর্তী স্থানে একাকী পিকনিকে যেতে দিবেন না।তার একটা বড় কারণ হল,পিকনিক বাসে অতিমাত্রায় হৈ হল্লা হয়,গান বাজে,গাড়ি চালকের মনোযোগ নষ্ট হয়।তাতে প্রায় সময়ই বাস গুলো দূর্ঘটনায় পতিত হয়।😞
শুধু তাই নয়;পিকনিকে যাওয়ার পর সবাই যার যার কর্ম নিয়ে আত্মকেন্দ্রিক ও ব্যস্ত হয়ে পরে;যার ফলে ছোট শিশুদেরকে নজরদারী করা ব্যহত হয়।ফলে অনেক শিশু পানিতে ডুবে অকালে ঝরে যায়।আমার নৈতিক দায়িত্ব ছিল সকলকে সচেতন করা,আমি সেটা করেছি।সিদ্ধান্তটা আপনাকেই নিতে হবে।😞
২য় শ্রেণির ছাত্রী ফৌজিয়া আফরিন সামিউন বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাথে পিকনিকে গিয়েছিল;কিন্তু ফিরল পানিতে ডুবে,লাশ হয়ে।এই দায়ভার কে নিবে?শিক্ষকরা যদি দেখাশোনা না করতে পারেন তাহলে কোন অধিকারে আমাদের বুকের ধনকে দূরবর্তী স্থানে পিকনিকে নিয়ে যান?এখন ঐ মাকে কে সান্তনা দিবে?এ ঘটনায় দায় অবশ্যই অবশ্যই আয়োজককেই নিতে হবে।😞
যে পিকনিকে গিয়ে সন্তান ফিরে আয় না;
এমন পিকনিক আর দেখতে চাই না।
লেখক: কাকলী আক্তার মৌ
(সীমান্তের আহ্বানের নিয়মিত লেখক)