ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাথর কোয়ারী সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামন করেন ভাইস চেয়ারম্যান কয়েছ
1 min readমাই টিভির সাক্ষাৎকারে গোয়াইনঘাট উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আম্বিয়া কয়েছ।
আবু তালহা তোফায়েল :: গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জননেতা মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছ ২৬ জানুয়ারি (রবিবার) সকাল ১০ টায় নিজ কার্যালয়ে মাই টিভির গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি হুমায়ুন আহমেদ-এর সাক্ষাৎকারে বলেন- ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে জাফলং ও বিছনাকান্দির পাথর কোয়ারী সচল রাখতে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেন।
তিনি বলেন যে, জাফলং ও বিছনাকান্দীতে আল্লাহর খনিজ সম্পদে ভরপুর, শুধু তাই নয় অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি ও। প্রতিনিয়ত এখানে পর্যটকদের সমাগম ঘটে। তাই বোমা মেশিন, শেলো মেশিনসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন করলে পর্যটন স্পটের কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না। এই দুই পাথর কোয়ারী শুধু গোয়াইনঘাট নয়, সারা বাংলায় সাপ্লাই হয়। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শ্রমিক, ব্যবসায়ীরা এখানে কাজ করে। আর গোয়াইনঘাটের জনসাধারণের মাঝে প্রায় অধিকাংশ বেশী শ্রমিক, দিনমজুর। তাদের জীবীকা নির্বাহ করার মাধ্যম পাথর কোয়ারী। এসব যদি এভাবে বন্ধ থাকে, তাহলে মানুষ না খেয়ে থাকতে হবে। শুধু গোয়াইনঘাট নয়, সারা বাংলাদেশে অর্থনৈতিকভাবে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়বে। আর এগুলো হচ্ছে খনিজ সম্পদ। বছরের পর বছর এগুলো বাড়তেই থাকবে। তাই সবদিকে বিবেচনা করে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর কোয়ারী সচল করার রেজুলেশন করা হয় উপজেলার মাসিক সভায়। এতে উপজেলার ১৩ জন জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তারা একাত্মতা পোষণ করেন এব্যাপারে।
তিনি আরো বলেন, বিগত কয়েকমাস থেকে জাফলংয়ে মিছিল, মিটিং ও শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ের জন্য অবরোধ, মানববন্ধনসহ যা যা করার সবকিছু করে আসছে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হচ্ছেনা।
এখন মাই টিভির মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীসহ উচ্চ পদস্থের কর্মকর্তা সকলের সুদৃষ্টি কামনা করছি। সনাতন পদ্ধতিতে জাফলং ও বিছনাকান্দীর পাথর কোয়ারী সচল করলে পর্যটন কেন্দ্রের ও কোনো ক্ষতি হবেনা ইনশাআল্লাহ। মানুষ কাজ ও পাবে, ভাত পাবে। দেশের অর্থনৈতিকভাবেও সচ্ছলতা হবে।