বাবা হচ্ছে পথচলার দিশারী
1 min read[কাকলী আক্তার মৌ]
বাবাদের গাঁয়ে কখনো ভাল কাপড় থাকে না;থাকে আধ ময়লা রিপু করা জামা।
বাবাদের পায়ে কখনো দামি জুতা থাকে না;থাকে তলা খাওয়া,সেলাই করা পড়ার অযোগ্য জুতা।
বাবাদের জীবনে আয়েশ নামের শব্দ অনুপস্থিত;থাকে জীবন যুদ্ধে সংগ্রামী পথ চলা।
বাবা’রা কখনো দামি পায়জামা পড়তে পারে না;সেই সুযোগই হয়ে উঠে না।
বাবা’রা কখনো তারকা হোটেলে দামি খাবার খেতে পারে না;দূরে দাড়িয়ে স্বপ্ন বুণে আর সামর্থ অনুযায়ী সন্তানদের জন্য নিয়ে যায়।
বাবাদের গাঁয়ে কখনো দামী আতরের ঘ্রাণ থাকে না;থাকে সর্বাঙ্গে ঘামে ভরা দূর্গন্ধ।
বাবা’রা সবসময় সম্মুখে হাসি দেয়;আর সন্তানের আগামীর জন্য লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদে।
বাবা’রা ভালবাসা দেখাতে পারে না,বুকের গভীরে লালন করে যায়।
বাবা’রা কঠোর হয়ে শাসন করে;আর কঠোরতার জন্য নীরবে কাঁদে।
বাবা’রা আঘাতে জর্জরিত হলেও বুঝতে দেয় না;দেয় মলিন হাসি।বাবা’রা অসুস্থ হলেও বলে সুস্থ্য আছি।
বাবা’রা কখনো ক্লান্ত হয় না;অভিনয় করে,ভান করে তা আড়াল করে যায়,বুঝতেই দেয় না।
বাবা’রা কঠিন অসুখে আক্রান্ত হয়ে সজ্জাশায়ী হলেও বলে আগের চেয়ে অনেক সুস্থ্য হয়ে গেছি।
বাবা’রা কখনো রাতে আরামে সুখ নিদ্রায় যেতে পারে না;জেগে জেগে স্বপ্ন বুনন করে।
বাবা’রা বট-বৃক্ষের মত ছায়া দিয়ে যায়;নিজেরা ছায়াহীন থেকে।
বাবাদের নিজেদের কোন স্বপ্ন নাই।আমাদের দেখা স্বপ্নই নীরবে আকার দিয়ে যায়।
আমরা সন্তানেরা কতই না অধম;বাবার চেহারা দেখে তাঁদের কষ্টটা বুঝতেই পারি না।অকারনেই তাঁদের আঘাত দিয়ে যাই।অথচ,সন্তানের চেহারার দিকে তাকিয়ে একজন সত্যিকারের বাবা সবি বুঝে যায়।
একজন সত্যিকারের বাবা শুধু দিয়েই যায়;চায় না কিছুই।
আমার এই লেখাটা যারা পড়বেন তাদেরকে বলছি;পড়া শেষ করে বাবার কাছে যাবেন,গিয়ে বলবেন “তোমাকে অনেক ভালবাসি বাবা” আমি অধমকে ক্ষমা করে দাও।
আর যাদের বাবা জীবিত নাই, তারা কবর পাড়ে গিয়ে তার মাগফিরাতের জন্য দোয়া কর “রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বা ইয়ানি ছ্গীরা”।
লেখক: কাকলী আক্তার মৌ
(সীমান্তের আহ্বানের নিয়মিত লেখক)