নারী শ্রমিককে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যা করল বাসচালক
1 min read
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি :: ঢাকার ধামরাইয়ে মমতা আক্তার (১৯) নামে এক সিরামিকস কারখানার শ্রমিককে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাসচালক সোহেলকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন ধামরাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বালিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালীপাড়া এলাকা থেকে এক কিলোমিটার ভেতরে একটি রাস্তার পাশ থেকে মমতার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মমতা আক্তার ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামের শাজাহান খার মেয়ে। তিনি স্থানীয় একটি সিরামিকস কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। আটক সোহেল রাজবাড়ীর পাংশা থানা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তিনি ওই কারখানার শ্রমিকদের বাসে করে আনা-নেয়ার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
ধামরাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে নারী শ্রমিক নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়। এরপর থেকে তাকে খুঁজতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা চালানো হয়। পাশাপাশি এলাকাবাসীও তাকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে বালিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালীপাড়া থেকে এক কিলোমিটার ভেতরে রাস্তার পাশ থেকে নিহত ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ভোর ৪টার বাসের ড্রাইভার সোহেলকে গাড়িসহ আটক করা হয়। সে জানায়, রাতেই ওই নারী শ্রমিককে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে রাস্তার পাশে মরদেহ ফেলে চলে যায় সে।
ওসি বলেন, নিহত মমতার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ধামরাই থানায় ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যা মামলা করা হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি-না তা বলা যাচ্ছে না।
সূত্র- জাগো নিউজ