সীমান্তে যৌথ টহলে রাজি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার
1 min read
নিজস্ব প্রতিনিধি :: মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবার চালান প্রতিরোধে সীমান্তে যৌথ টহলে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। এছাড়া সীমান্তে যে কোনো ধরনের চোরাচালান, মানব পাচার, অনুপ্রবেশ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে দু’দেশ যৌথভাবে কাজ করবে। কোনো দেশেরই মাটি ব্যবহার- অবস্থান করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে দেয়া হবে না। এ বিষয়ে উভয় দেশ ‘জিরো টলারেন্স’ অনুসরণ করবে।
বুধবার (০৮ জানুয়ারি) দুপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমার পুলিশ ফোর্সের (এমপিএফ) সিনিয়র পর্যায়ে ৫ দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন শেষে একথা বলা হয়।
সম্মেলনে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মুহা. সাফিনুল ইসলাম এবং মিয়ানমারের সফররত আট সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মিয়ানমারের চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মায়ো থান।
সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক জানিয়েছেন, সম্মেলনে নয়টি বিষয়ে একমত হয়েছে দু’পক্ষ।
বিষয়গুলো হলো- মাদক চোরাচালান রোধে জিরো টলারেন্স; আন্তঃদেশীয় অপরাধ, অস্ত্র চোরাচালান, মানবপাচার, পণ্য চোরাচালান ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক দেশ অপর দেশকে সহযোগিতা, সীমান্তের উভয় পাশে ১৫০ ফুটের মধ্যে যে কোনো ধরনের সীমানা লঙ্ঘন না করা ও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে একে অপরকে জানানো।
এছাড়াও, সীমান্তে যৌথ টহলে রাজি হয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। বিজিবি ও এমপিএফের মধ্যে সাংস্কৃতিক দল বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্যে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে।
সূত্র- ইনসাফ