“ভাগ্য শুধু পাথরে”
1 min read
রাজুবিশ্বাস দুর্জয়,গোয়াইনঘাট :: জৈন্তাপুর,গোয়াইনঘাট ও কোম্পানিগঞ্জসহ তিন উপজেলার প্রায় ১০ লক্ষাধিক ভোটার নিয়ে অবস্থিত সিলেট ৪ আসন।ভোটার সংখ্যা যেমন,জনসংখ্যাও ঠিক তেমনি।কমতি নেই কোনকিছু। এমনকি শ্রমিকদের দিক দিয়েও।এই তিন উপজেলার প্রায় ৯০% শতাংশ লোক পাথর শ্রমিক । এজন্যই শিরোনাম ভাগ্য শুধু পাথরে ।একবার ভেবে দেখেছেন ১০ লক্ষ্য ভোটারের সিংহভাগ যদি হয় পাথর শ্রমিক,তাহলে তাদের ভাগ্য কতটা পাথরের উপর নির্ভর করে?বছরের প্রায় দু-তিন মাস খোলা থাকে এসব পাথর কোয়ারি,বাকি ন’মাস ই জীবিকা নির্বাহ করা হয়ে পরে কঠিন থেকে কঠিনতম।খাদ্য,বস্ত্র,শিক্ষা,বাসস্থান ও বস্ত্রের চাহিদা হল আমাদের মৌলিক অধিকার,আর এই মৌলিক অধিকার আদায়ে প্রয়োজন অর্থ,যা জৈন্তাপুর,জাফলং ও গোয়াইনঘাটের মানুষের একেবারেই নিম্ন পর্যায়ে।২০১৩ সালে সিলেটের ডাউকি নদীকে ইসি এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে একটা পরিবেশবাদী সংগঠন। আদালতে জজনস্বার্থতা দেখিয়ে রিট করে ঝুকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত ইসির নির্দেশ গোপন করে একটি চক্র ২০১৯ পর্যন্ত অবৈধভাবে পাথর তুলে আসছিল বলে জানান সংস্লিষ্ট কতৃপক্ষ। যার ফলস্বরুপ ম্যানুয়াল (সনাতন) পদ্ধতিতেও পাথর উত্তোলনে কঠোর হুশিয়ারি রয়েছে প্রশাসনের। ফলে ১০ মাস যাবত বন্ধ রয়েছে জাফলং,লোভাছড়া,শাহ আরফিন টিলাসহ সিলেটের প্রায় সকল পাথর কোয়ারি। জীবিকা নির্বাহ নিয়ে বেকায়দায় পরেছেন এই তিন উপজেলার সাধারণ মানুষ। খুব কম সংখ্যক শ্রমজীবী মানুষ কৃষিতে জড়িত থাকলেও শুধু অন্ন থাকলেই কি ফ্যামিলি চলে।বাকিরা ঘুরেফিরে আবারো পাথর নির্ভর,যেমন মাস দুয়েক ধরে অদৃশ্য সমসাময়িক কারনে বন্ধ রয়েছে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর,যেখানে পাথরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন আরো ৫ হাজার শ্রমিক।এক কথায় জীবিকা নির্বাহ নিয়ে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন এই তিন উপজেলার সাধারণ মানুষ।অতি শীগ্রই প্রয়োজন সময়উপযোগী কর্মসংস্থান, অন্যথায় দুর্ভিক্ষের হতে আর বেশি দেরি নেই।