বামজোটের কর্মসূচিতে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন আল্লামা কাসেমী
1 min read
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা (বারিধারা)
বামজোটের মিছিলে পুলিশ লাঠি চার্জ করে নেতাকর্মীদের আহত করার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
আজ (৩১ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার দলের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী এক বিবৃতিতে এই ঘটনার বিচার দাবি এবং বামজোটের আক্রান্ত নেতাকর্মীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আমরা সকল প্রকার জালিমের বিরুদ্ধে এবং মজলুমের পক্ষে। গতকাল বামজোটের সাথে পুলিশ যে বেআইনী ও নির্দয় মারমুখী আচরণ করেছে, এটা প্রকাশ্য জুলুমের শামিল।
বিবৃতিতে আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, সরকার একদিকে মুখে গণতান্ত্রিক শাসনের কথা বলে, অন্যদিকে কাজে-কর্মে পুরোপুরি স্বৈরাচারি ও ফ্যাসিবাদি আচরণ করে। অবৈধ শাসনের বিরুদ্ধে গণজোয়ারের ভয়ে রাজনৈতিক দলসমূহকে সভা-সমাবেশের অনুমতি দেয় না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকেও পুলিশ দিয়ে বলপ্রয়োগ করে দমন করে। বস্তুত: জনবিচ্ছিন্ন এই সরকার সামান্য কোন প্রতিবাদ, মিছিল, মিটিংকেও ভয় পায়।
তিনি বলেন, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর রাতে ভোট চুরি হয়েছে, আর ৩০ ডিসেম্বর দিনে ভোট ডাকাতি হয়েছে। এটা গোপন কিছু নয়, দেশের সর্বস্তরের জনতা এটা জানে। একটা স্বাধীন রাষ্ট্রে এটা মারাত্মক জনঅধিকার হরণ ও জুলুমের শামিল। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো বামজোটও গতকাল এই ভোট চুরি ও ভোট ডাকাতির প্রতিবাদ করতে রাজপথে শান্তিপূর্ণভাবে নেমেছিল। কিন্তু জনবিচ্ছিন্ন সরকার ভীত হয়ে তাদের উপর পুলিশ বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে বেধড়ক লাঠিপেটা ও বহু নেতা-কর্মীকে আহত করেছে। এটা অত্যন্ত জঘন্য জুলুম ও নিন্দনীয় ঘটনা। আমরা এই বর্বরোচিত হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানচ্ছি এবং অবিলম্বে দায়ীদের বিচার ও শাস্তি দাবি করছি।
জমিয়ত মহাসচিব বলেন, সরকার দেশের মানুষের শুধু ভোটাধিকার কেড়ে নেয়নি। বরং মানুষের মতপ্রকাশের অধিকারও কেড়ে নিয়েছে। সরকারের জুলুম, নিপীড়ন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বাধীনতভাবে কথা বলতে দিচ্ছে না। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে নাগরিক নিরাপত্তার পরিবর্তে অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত রাখতে নগ্নভাবে ব্যবহার করছে। সরকারের এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সকলকে সোচ্চার হতে হবে।
তিনি বলেন, অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণ ঐকবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসলে, কোন কিছু দিয়েই জনগণকে দাবিয়ে রাখতে পারবে না। কারণ, অন্যায়চারী ও জালিমের পরাজয় এবং সত্য ও নায়ের জয় অনিবার্য। জালেমের দম্ভ কখনো দীর্ঘস্থায়ী হয় না।