মুসলমানরা নির্যাতিত, সন্ত্রাসী নয়; ড. মুশতাক আহমদ
1 min read
আবু তালহা তোফায়েল :: জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গার ৩দিন ব্যাপী শতবার্ষিকী ও দস্তারবন্দী মহাসম্মেলনের (২৭ ডিসেম্বর, শুক্রবার) ৩য় দিনের ২য় অধিবেশনে ইসলামি ঢাকার ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক ও ঢাকা তেজগাঁও মাদরাসার নাইবে শায়খুল হাদীস ড. মুশতাক আহমেদ বলেন- সন্ত্রাসী করে বিধর্মীরা অর্থাৎ হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টানরা আর দোষারূপ করে মুসলমানদের।
নাফ নদীর পানি মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত হয়ে লাল হয়েছে। বৌদ্ধদের সন্ত্রাসীর কথা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। বিশ্ব সন্ত্রাসী অংসান সূচী মুসলমানদের উপর যে স্টিমরোলার চালিয়েছিলো, তা বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশে মিডিয়ায় দৃশ্যমান হয়ে আছে। আর তারা বলে মুসলমানরা নাকি সন্ত্রাসী।
বর্তমানে ভারতে কুখ্যাত সন্ত্রাসী মোদি সরকার মুসলমানদের উপর যে নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে, মসজিদ মাদরাসা তোলে দেওয়ার পায়তারা করছে, তা বিশ্ব দরবারে প্রকাশ হয়ে আছে।
তবুও বামপন্থীরা, ইয়াহুদ নাসারারা মুসলমানদের সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করে।
তিনি বলেন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দেড়’শ কোটি মুসলমান। সব যায়গায়ই মুসলমানরা নির্যাতিত। যে রাষ্ট্র মুসলিম অর্থাৎ ইসলামি রাষ্ট্র, সে রাষ্ট্রে সাম্প্রদায়িক বিচ্ছেদ নেই, সেই রাষ্ট্রে সাম্প্রদায়িক বন্ধনে সরকার যথাযথ সচেতন এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তিনি দৃষ্টান্ত হিসেবে বলেন যেমন বাংলাদেশ ইসলামী রাষ্ট্র। হিন্দু, বৌদ্ধ ও খৃষ্টানরা মুসলমানদের পাশাপাশি সমানভাবে তাদের অধিকার দেওয়া হয়। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। সৌদিআরবের দিকে তাকালে দেখা যায় তারা ইসলামী রাষ্ট্র হলেও বিধর্মীদেরকে অগ্রাধিকার দেয়।
মুসলমানরা সাম্প্রদায়িক বন্ধনে ঐক্যবদ্ধ আর বিধর্মীরা এর প্রতিদানে সাম্প্রদায়িক বিচ্ছেদ বিশ্বাসী। মুসলমানদের কাছে সকল ধর্মাবলম্বীরা নিরাপদ, কিন্তু মুসলমানরা এর প্রতিদান হিসেবে পায় নির্যাতন। শুধু তাই নয়,মজলুম মুসলমানদেরকে তারা সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করে।