মুক্তিযোদ্ধার স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম; ভাইস চেয়ারম্যান কয়েছ
1 min readআবু তালহা তোফায়েল :: ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ তোয়াকুল ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে- মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ইসলামি সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ২২ ডিসেম্বর (রবিবার) সন্ধ্যা ৭টায়।
হাফিজ ওলিউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং রেজাউল হকের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, জমিয়ত নেতা জননেতা মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েছ।
তিনি বলেন- আমি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সদয়, উদার। কারণ আমরার আজকের এই স্বাধীন পতাকা, এই স্বাধীন মানচিত্র পেয়েছি তাদেরই ত্যাগ তিতিক্ষার কারণে, যারা ১৯৭১ সালে শহিদ হিয়েছেন, তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি, এবং যারা মুক্তিযোদ্ধারা জীবিত ও মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়ক যারা তাদের দীর্ঘায়ু হায়াত কামনা করি।
তিনি বলেন যে, আমার মা জননীর কাছ থেকে গল্প শুনেছি, আমার বাবা ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। যদি গোটা গোয়াইনঘাট উপজেলার মধ্যে পাকিস্তানি রাজাকাররা প্রথমেই কোনো ঘর বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে, তাহলে আমার বাড়ির আমাদের একটি মাত্র কুড়ে ঘর ছাড়া সমস্ত ঘর আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি তার মুক্তিযোদ্ধা বাবার একটি বিরল ঘটনা উল্লেখ করেন, দিনে গোয়াইনঘাটের লাখাট নামক গ্রামের এক মহিলার বাড়িতে আশ্রয় নিতেন, রাতের গভীরে ইন্ডিয়ায় উঠে থাকতেন, আবার ভোরবেলা মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তায় রণাঙ্গনে ছুটে যেতেন, আত্মগোপন করতেন সেই মহিলার বাড়িতে। আমি ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর সেই মহিলাকে অনেক চেষ্টার পরও খোঁজে পাইনি,আজ থেকে তিনদিন পূর্বে সেই মহিলা আমার অফিসের সামনে আসলেই তাকে শ্রদ্ধা ভরে অফিস থেকে বাড়িতে নিয়ে সযত্ন মেহমানদারী করে সরকারি একটি কম্বল দেই, আমি নিজ উদ্যোগে সরকারি পক্ষ থেকে সেই মহিলার কুড়ে ঘর ঠিক করার শীঘ্রই ব্যাবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের এবং তাদের স্বপক্ষদের প্রাণভরে শ্রদ্ধা করি, সম্মান জানাই, নিজ থেকে কিছু করার চেষ্টা করি।
তিনি সর্বশেষ উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ইতিহাস জানুন, সত্যটাই জানুন।“মুক্তিযোদ্ধার স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম তথা দেওবন্দী উলামায়ে কেরামগণ”।
তিনি ঢাকার আরজাদাবাদ মাদরাসা উল্লেখ করেন। পাক বাহীনিরা দেশের সব ক’টি মাদরাসা ধ্বংস করে দিয়েছিলো। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করে গিয়েছে; শুধু বাংলার জমিয়ত নয়, জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ দারুল উলুম দেওবন্দে একটি কনফারেন্স করে নির্দেশ দিয়েছিলো তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান তথা আজকের বাংলাদেশের জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে যে, এই সংগ্রামে এই মুক্তিযোদ্ধায় তোমরা ঝাপিয়ে পড়ো পাক বাহিনীর উপর।
এরি প্রেক্ষিতে তিনি আল্লামা মোস্তফা আজাদের নাম উল্লেখ করে বলেন, তিনি যদিও তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেননা, কিন্তু মুক্তিযোদ্ধার রণাঙ্গনের ময়দানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। যার কথা বাংলার একটা মানুষ অস্বীকার করবেনা। তিনি আল্লামা শামছ উদ্দিন ক্বাসেমীর কথা উল্লেখ করে বলেন, এরকম আলেম উলামারা, জমিয়ত নেতারা, দেওবন্দী উলামায়ে কেরামরা মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষের এক বড় শক্তি ছিলেন। মাঠে-ময়দানে, পরামর্শে সব যায়গায় তাদের অবধান বিরল।