২০২০ সালের বিশ্ব ইজতেমার জন্য যথাসম্ভব বৃদ্ধি করা হচ্ছে মাঠের পরিধি
1 min read
আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে আলেমদের তত্ত্বাবধানে ২০২০ সালের বিশ্ব ইজতেমা। দেশের হকপন্থী আলেমদের তত্ত্বাবধানে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে বিদেশি আলেমরাও অংশগ্রহণ করবেন। প্রথম পর্বে সর্বোচ্চসংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উপস্থিত করতে চলছে জোর প্রস্তুতি। সে কারণে যথাসম্ভব বাড়ানো হচ্ছে ইজতেমার মাঠের পরিধি।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমাকে সফল করতে এগিয়ে চলছে মাঠ প্রস্তুতির কাজ। মাঠের প্রস্তুতি কাজে স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছে সারাদেশ থেকে আগত অনেক আলেম ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লী।
এবারের ইজতেমার প্রথম পর্ব আর ২১ দিন পরেই শুরু হবে। ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতি কাজের অন্যতম একজন জিম্মাদার জানিয়েছেন ব্যাপক সংখ্যক লোক এ বছর ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতির কাজে অংশ নিয়েছেন।
প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতির কাজ করতে জামাতবন্দি হয়ে অনেক লোক আসছেন। ছুটির দিনগুলোতে মাঠ প্রস্তুতির কাজে অতিরিক্ত আলেম ও মাদরাসার ছাত্ররাও অংশ নিচ্ছেন। এর আগে এত লোক কখনো কাজ করতে আসেনি বলেও জানান তিনি।
প্রথম পর্বে ইজতেমায় সর্বোচ্চ সংখ্যক উপস্থিতির সম্ভাবনায় ইজতেমার জায়গা বাড়ানোর চিন্তা করছে মুরব্বিরা। সারাদেশ থেকে আলমি শুরার সাথীদের ব্যাপক উপস্থিতির বিষয়টি বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন ইজতেমার মুরব্বিরা।
ইজতেমার সাথীদের অবস্থানে পর্যাপ্ত স্থানের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ বছর বেড়িবাঁধের পশ্চিম পাশে, বাটা কোম্পানির মাঠ ও হুন্ডা ভবনের খালি অংশও ইজতেমার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। যাতে আগত মুসল্লিদের মাঠে অবস্থানে বিঘ্ন না ঘটে।
প্রতি শুক্রবার ইজতেমা মাঠের প্রস্তুতি কাজে অনেক লোক সমাগম হচ্ছে। তাদের কেউ মাঠ সাফাইয়ের কাজ করছেন। কেউ মাটি কাটছেন। কেউ ময়লা পরিষ্কার করছেন। কেউ শামিয়ানা টানানোর কাজ করছেন। কেউ খুঁটি স্থাপন করছেন। আবার নতুন মাঠের কাজেও অংশ নিচ্ছেন অনেকে।
শুক্রবার ছাড়াও সরকারি বিশেষ ছুটির দিনেও উপস্থিত হচ্ছে অনেক মানুষ। সবাই মাঠের প্রস্তুতি কাজে নিজেদের শরিক করছে। টঙ্গীর তুরাগ তীরে মাঠ প্রস্তুতির কাজে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তায় রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
প্রসঙ্গত, গত ৪ নভেম্বর সোমবার স্থানীয় এমপি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের উপস্থিতিতে ২০২০ সালের ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি কাজের উদ্বোধন করা হয়।